Shkup, Maqedoni – Trafiku në rrugët shtetërore është normalisht i rrjedhshëm, ndërsa në disa pjesë të vendit, rrugët janë të lagështa.
** অটোমেটিক ট্রানস্মিশন কি? এই ট্রান্সমিশন কিভাবে কাজ করে? অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি? বিস্তারিত জানতে নিচে পড়ুন।
অটোমেটিক ট্রান্সমিশন (Automatic Transmission) :
অটোমেটিক ট্রান্সমিশন হচ্ছে এমন একটি ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা, যেখানে চালক (Driver) -কে গিয়ারের পরিবর্তন করতে হয় না। ইঞ্জিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির গতি এবং লোড অনুযায়ী গিয়ার পরিবর্তন করে। এই পদ্ধতিতে, ক্ল্যাচ প্যাডেল ব্যবহার করারও প্রয়োজন হয় না।
অটোমেটিক ট্রান্সমিশন কিভাবে কাজ করে:
অটোমেটিক ট্রান্সমিশন সিস্টেম কয়েকটি মূল উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গিয়ার পরিবর্তনের কাজটি সম্পন্ন করে:
১. টর্ক কনভার্টার (Torque Converter) : টর্ক কনভার্টার ইঞ্জিনের ঘূর্ণন শক্তিকে ট্রান্সমিশনে স্থানান্তর করে। এটি ফ্লুইড কাপলিং হিসেবে কাজ করে, যা ইঞ্জিন এবং ট্রান্সমিশনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এবং প্রয়োজনে টর্ক বৃদ্ধি করে।
২. প্ল্যানেটারি গিয়ার সেট (Planetary Gear Set) : অটোমেটিক ট্রান্সমিশনে প্ল্যানেটারি গিয়ার সেট ব্যবহার করা হয়। এই সেটের মাধ্যমে বিভিন্ন গিয়ার অনুপাত তৈরি করা হয়। প্রতিটি গিয়ার অনুপাত গাড়ির গতি এবং টর্কের চাহিদা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচন করা হয়।
৩. হাইড্রোলিক কন্ট্রোল সিস্টেম (Hydraulic Control System) : এই সিস্টেমটি ট্রান্সমিশনের গিয়ার পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করে। এটি সেন্সর এবং ভালভের মাধ্যমে ইঞ্জিনের গতি, গাড়ির গতি এবং চালকের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে সঠিক গিয়ার নির্বাচন করে। হাইড্রোলিক প্রেশার ব্যবহার করে ক্লাচ এবং ব্যান্ডগুলোকে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় করে গিয়ার পরিবর্তন করা হয়।
৪. ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল ইউনিট (TCU) : TCU হলো অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের ইলেকট্রনিক ব্রেইন। এটি বিভিন্ন সেন্সর থেকে ডেটা সংগ্রহ করে এবং হাইড্রোলিক কন্ট্রোল সিস্টেমকে নির্দেশ দেয় কখন গিয়ার পরিবর্তন করতে হবে।
অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের সুবিধা :
১. সহজ ড্রাইভিং : অটোমেটিক ট্রান্সমিশনে গিয়ার পরিবর্তনের ঝামেলা না থাকায় ড্রাইভিং সহজ হয়। বিশেষ করে শহরের যানজটে এটি খুবই উপযোগী।
২. মসৃণ গিয়ার পরিবর্তন : অটোমেটিক ট্রান্সমিশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে গিয়ার পরিবর্তন করে, তাই গিয়ার পরিবর্তনের সময় ঝাঁকুনি কম হয় এবং ড্রাইভিং আরও মসৃণ হয়।
৩. শিক্ষানবিস চালকদের জন্য উপযোগী : নতুন চালকদের জন্য অটোমেটিক ট্রান্সমিশন খুবই সহায়ক, কারণ তাদের গিয়ার এবং ক্লাচ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের অসুবিধা :
১. বেশি দাম : অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের গাড়ি ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশনের গাড়ির চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি দামি হয়।
২. কম ফুয়েল এফিসিয়েন্সি : কিছু ক্ষেত্রে অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের গাড়ি ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশনের গাড়ির তুলনায় কম ফুয়েল এফিসিয়েন্ট হতে পারে।
৩. জটিল রক্ষণাবেক্ষণ : অটোমেটিক ট্রান্সমিশন সিস্টেম জটিল হওয়ার কারণে এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামত ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশনের চেয়ে কঠিন এবং ব্যয়বহুল।
৪. কম নিয়ন্ত্রণ : কিছু চালক মনে করেন যে অটোমেটিক ট্রান্সমিশনে গাড়ির ওপর নিয়ন্ত্রণ কম থাকে, কারণ গিয়ার পরিবর্তনের স্বাধীনতা কমে যায়।